বাজার থেকেতো আমরা সারা বছরই আমের জেলি কিনে খাই। অথচ সেই জেলিতে প্রিজারভেটিভ দেওয়া থাকে। বাংলাদেশে অনেক লম্বা একটা সময় আমের সিজন থাকে। পুরো সময়টাতেই বাজারে কাঁচা আম ও পাকা আম পাওয়া যায়। আপনারা চাইলেই কিন্তু আমের জেলিটা খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। কোন প্রিজারভেটিভ বা জেলাটিন লাগবে না। আর সংরক্ষণও করতে পারবেন কয়েক মাস পর্যন্ত।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
কাঁচা আম – ৪০০ গ্রাম
চিনি – আমসেদ্ধ পানির মাপ অনুযায়ী
ভিনেগার / লেবুর রস – ১ টেবিল চামচ
খাবার রং (পছন্দমতো) – কয়েক ফোটা
পানি – ২ কাপ
প্রণালী-
১। আমগুলোর খোসা ফেলে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। আটির সাথে লেগে থাকা আমও নিয়ে নিবেন।
২। আমের টুকরোগুলো একটা প্যানে নিন। সাথে দুই কাপ পানি যোগ করুন। তারপর প্যানটা ঢেকে দিন।
৩। প্যানটা মিডিয়াম-লো আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। তারপর ১৫-২০ মিনিট আমগুলো জ্বাল করুন।
৪। ২০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে একটা ছাঁকনির সাহায্যে আম থেকে পানি আলাদা করে নিন। এই ছেঁকে নেওয়া পানি দিয়েই জেলি বানাতে হবে। এরপর ছেঁকে নেওয়া পানিটা একটা কাপ দিয়ে মেপে নিন। পানির পরিমাণ যতটুকু হবে চিনিও ততোটুক পরিমাণ দিতে হবে (অর্থাৎ পানি যদি দেড় কাপ হয় তাহলে চিনি দিতে হবে দেড় কাপ)।
৫। পানিটা একটা প্যানে নিয়ে সমান পরিমাণ চিনি যোগ করুন। মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করতে থাকুন। জ্বাল করার সময় ফেনা উঠলে একটা চামচ বা ছাঁকনি দিয়ে তুলে নিবেন।
৬। বলক আসলে ভিনেগার ও খাবার রং যোগ করুন।
৭। জ্বাল দিয়ে একতার পর্যন্ত ঘন করে নিন। (একতার হয়েছে কিনা চেক করতে একটা চামচে সামান্য একটু জেলি নিয়ে ঠাণ্ডা করে দুটো আঙ্গুল দিয়ে চেক করে দেখতে হবে। জেলি আঠালো হয়ে একটা তারের মত হলে বুঝতে হবে হয়ে গেছে)। একতার হলে চুলা বন্ধ করে দিন।
৮। চুলা থেকে নামিয়ে সরাসরি যে বয়ামে জেলি রাখতে চান সেই বয়ামে ঢেলে নিন।
৯। ৬-৭ ঘণ্টা জেলিটা সেট হওয়ার জন্য রেখে দিন। এসময় জেলি ঢেকে রাখা যাবে না বা ফ্রিজেও রাখা যাবে না। সেট হয়ে গেলেই জেলি খাওয়ার জন্য তৈরি।
** কাঁচা আমের জেলিটা ফ্রিজে রেখে ৩-৪ মাস পর্যন্ত খেতে পারবেন।
রেসিপি ক্রেডিট- FlavorsBD
I visited many blogs however the audio feature for audio songs
existing at this website is really excellent.