বর্তমানে করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে গেছে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে। আর ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের ঝুকি অত্যান্ত বেশি। তাই এই ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্রয়োজন প্রস্তুতি এবং সচেতনতা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য যে ব্যবস্থাগুলো নিতে হয়, নিয়মিত হাত ধোয়া সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। এসব ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া সব থেকে ভালো। কিন্তু যদি সাবান আর পানির ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে সবথেকে ভালো বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। সমস্যা হচ্ছে এই আতঙ্কের ফলশ্রুতিতে হঠাৎ করেই বাজারে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মত জীবাণু প্রতিরোধকারী জিনিসগুলো পাওয়া যাচ্ছে না, আর যদিও পাওয়া যায় দেখা যাচ্ছে সেগুলোর দাম বাড়িয়ে কয়েকগুণ করে দেওয়া হয়েছে। আর তাছাড়া এসব জিনিসের চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করাও কঠিন হয়ে গেছে।
তবে আপনি চাইলে কিন্তু ঘরেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে নিতে পারেন। এর জন্য খুব বেশি কিছু লাগবেও না।
বাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানোর আগে যা জানা জরুরীঃ
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, এলকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার দ্রুত জীবাণু মেরে ফেলতে পারে, তবে কিছু কিছু জীবাণুর ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নাও হতে পারে।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে, আপনি যদি বাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানান সেক্ষেত্রে সঠিক মাপ অনুযায়ী সবকিছু দিতে হবে। তা না হলে লাভের থেকে বরং ক্ষতিই বেশি হতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্যের একজন অধ্যাপক ড. ড্যানিয়েল পার্কার সিএনএনকে বলেছেন যে তিনি বাড়িতে স্যানিটাইজার বানানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন কারণ “ঘনত্ব ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।” যদি পরিমাপ ঠিকমতো না হয় সেক্ষেত্রে হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে যেতে পারে।
বাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেভাবে বানাবেনঃ
হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানোর এই পদ্ধতিটি ডব্লিউ এইচ ও দ্বারা প্রস্তাবিত মিশ্রণের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।
যা যা লাগবে-
১। রাবিং এলকোহল- ১+২/৩ কাপ (বাজারে পাওয়া রাবিং এলকোহলে পানি মেশানো থাকে। তবে ভাল কোয়ালিটির রাবিং এলকোহলে পানির পরিমাণ শতকরা দশ ভাগের বেশি হয় না। তবে এলকোহলে যদি পানির পরিমাণ বেশি থাকে তবে পরবর্তি ধাপে যখন পানি দিতে হবে তখন পরিমানে কিছু কম দিতে হবে। মোট যতটুকু হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি হবে তাতে তিন ভাগের দুই ভাগের কাছাকাছি এলকোহল থাকতে হবে। তাছাড়া রাবিং এলকোহলে বিষাক্ত মিথানল মেশানো থাকে। তাই খেয়াল রাখতে হবে, প্রস্তুতকৃত হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেন মুখে না যায়।)
২। গ্লিসারিন- ২ চা চামচ (গ্লিসারিন না পেলে এলোভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে, তবে গ্লিসারিন ব্যবহার করলেই সবচেয়ে ভালো)
৩। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড- ১ টেবিল চামচ (হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ক্যামিকেলের দোকানে পাওয়া যায়, তবে এটা জোগাড় করা একটু কঠিন। জোগাড় করতে না পারলে না দিলেও চলবে)
৪। ডিসটিল্ড ওয়াটার- ১/৪ কাপ (ডিসটিল্ড ওয়াটারের পরিবর্তে পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে তারপর ঠাণ্ডা করে ব্যবহার করা যাবে)
যেভাবে বানাবেন-
সবকিছু একটা পরিষ্কার বোতলে নিয়ে বোতলের মুখ লাগিয়ে মিশিয়ে নিন।
ব্যবহার করার সময় হাতে অল্প করে নিয়ে ব্যহহার করবেন। পেপার টাওয়েল এটা দিয়ে ভিজিয়ে তারপর মুছার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন।
* আপনারা চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সুগন্ধযুক্ত করতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল- টি ট্রি অয়েল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল যোগ করতে পারেন। তাছাড়া কেউ যেন হ্যান্ড স্যানিটাইজারটিকে পানি ভেবে ভুল না করে সেই জন্য এতে সামান্য রং মেশানো যেতে পারে।
কোন উপাদান কি কাজ করে?
গ্লিসারিনঃ গ্লিসারিন আদ্রতা ধরে রাখে। তাছাড়া এটি পানি ও এলকোহল উভয়তেই দ্রবনীয় বিধায় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মিশ্রণটি সমান ভাবে মিশে যায়।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডঃ এটি আসলে না দিলেও হয়। হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মূলত ব্যাকটেরিয়া স্পোর নিস্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।
এলকোহলঃ এটিই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মূল জীবাণুনাশক। এলকোহল ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রোটিন ডিন্যাচার করে দেয়। ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া মারা যায়।
I was more than happy to discover this site. I wanted to thank you for your time just for this fantastic read!! I definitely really liked every little bit of it and I have you book-marked to look at new information in your website.